বাংলাদেশে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে শাসক দলের তিনজন গ্রেফতার

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিবিরোধী এক অভিযান শুরু করেছেন। আর এই অভিযানের শুরুতে টেন্ডারের সঙ্গে জড়িত জিকে শামীম ও ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত খালেদ মাহমুদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশে এক আলোচনা- রাজধানী ঢাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় তারা কিভাবে এতবড় দুর্নীতির নেটওয়ার্ক গড়ে তুললো। তারা দু’জনই শাসক দলের অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের নেতা।

শুক্রবার বিকেলে যখন শামীমের অফিসে র‌্যাব হানা দেয় তখন সরাসরি টিভির পর্দায় ভেসে উঠছিল তার সম্পদের নানা চমকপ্রদ তথ্য। বিলাসবহুল অফিস থেকে উদ্ধার করা হয় ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অস্ত্র আর মাদকতো ছিলই। গ্রেপ্তার করা হয় তার সাতজন বডিগার্ডকে। যারা রাজপথে সাইরেন বাজিয়ে কিং শামীমকে নিয়ে যেত গন্তব্যে। বর্তমানে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের কাজ শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের কব্জায়। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ করছে শামীমের প্রতিষ্ঠান। দরপত্র আহ্বান করা হলেও শামীমের দাপটে শেষ পর্যন্ত অন্য কোন প্রতিষ্ঠানই দাঁড়াতে পারেনি। এভাবেই শামীম রাজধানীতে তার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন। অনেক রাঘব বোয়াল এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে। শামীমের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা হয়েছে।

এর আগের দিন গ্রেপ্তার হন আরেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। মতিঝিল এলাকায় তিনি ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করতেন। ঢাকায় ৬০টি অবৈধ ক্যাসিনোর সন্ধান মিলেছে। খালেদ মাহমুদের দখলে ছিল ১৭টি ক্যাসিনো। গ্রেপ্তারের সময় বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ১৪২ জনকে। বিদেশী মদও পাওয়া যায় এ সময়। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষকলীগ নেতা শফিকুল ইসলামকেও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির মনে করেন, এই অভিযানের পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন অভিযান চলবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।