নির্বাচন কমিশনের ভোটে হেরে গেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া । প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আর্জি জানিয়েছিলেন। সাধারণত কমিশনারদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আপিল শুনানির সমাপ্তি ঘটে। খালেদার ক্ষেত্রে বিরল। সরাসরি ভোট হয়েছে কমিশনারদের মধ্যে। একমাত্র মাহবুব তালুকদার খালেদার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ার পক্ষে ভোট দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তিন কমিশনার বিপক্ষে অবস্থান নেন। ফেনী-১, বগুড়া-৬ এবং ৭ আসনে খালেদার মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তে। খালেদার আইনজীবীরা নির্বাচন কমিশনে বলেন, রিটার্নিং অফিসাররা যে কারণে প্রার্থিতা বাতিল করেছেন তা মোটেই আইনসিদ্ধ নয়। কারণ খালেদার সাজা হয়েছে দুর্নীতি মামলায়। কিন্তু রিটার্নিং অফিসাররা মনোনয়ন বাতিল করেছেন নির্বাচনী অপরাধে। তিনি কারাগারে থেকে নির্বাচনী অপরাধ করলেন কিভাবে? সকালে এক দফা শুনানী শেষে বিকেল পর্যন্ত মূলতবী করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে খালেদাকে মনোনয়ন না দেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখান।
দলের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের কাছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ পত্র পাঠিয়েছেন। বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হিংস্র থাবা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে বাংলাদেশকে টেকসই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটের বিজয় সুনিশ্চিত করুন। আওয়ামী লীগে ৯১ জন মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে অনেকেই বাদ পড়েছেন।
বাংলাদেশে একটি নির্বিঘ্ন নির্বাচন আশা করে চীন। ঢাকাস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু এক অনুষ্ঠানে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বৃটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদ বলেছেন, তার দেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপরও বিশেষ নজর রাখছে।
ওদিকে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের সমর্থকরা দলটির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। মুন্সিগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের গাড়িবহরে গুলি ও হামলা হয়েছে। এতে ৬ জন আহত হয়েছেন।
Your browser doesn’t support HTML5