ভারতে রেলযাত্রীদের ক্ষেত্রে বিতর্কিত আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ আজ থেকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হলো। ভারতের রেলমন্ত্রক কাল গভীর রাতে ঘোষণা করেছে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রবর্তিত আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যদি যাত্রীদের স্মার্টফোনে না থাকে তা হলে আজ থেকে যেসব দূর পাল্লার ট্রেন চালু হয়েছে তাতে উঠতেই দেওয়া হবে না।
মাত্র গতকালই ভারতীয় রেল থেকে বলা হয়েছিল যে যাত্রীরা এই আরোগ্য সেতু অ্যাপটি তাদের স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে রাখলে সুবিধা হবে। কিন্তু তার থেকে সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়ে রাত ১২টা ২৪ মিনিটে রেলমন্ত্রক থেকে ট্যুইট করা হয় যে, আরোগ্য সেতু অ্যাপটি স্মার্টফোনে থাকতেই হবে। নয়তো যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত বলা যায়, এটি একটি যথেষ্ট বিতর্কিত মোবাইল অ্যাপ। অনেকেই বলেছেন, এর থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেই তথ্য অন্য কোনও কাজে লাগানো হতে পারে। তাই যতক্ষণ না এটির নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ এটি ব্যবহার করতে বাধ্য করা উচিত নয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টই এই সম্পর্কে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যে, আরোগ্য সেতু অ্যাপ অথবা এই ধরনের যে কোন সরকারি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কোন নাগরিককে জোর করে ব্যবহার করতে বাধ্য করা যাবে না। সেটি হবে সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার এটা করছে এবং শোনা যাচ্ছে যে দেশের ভেতরে বিমান চলাচল চালু হলে বিমান যাত্রীদেরও একই রকম বাধ্যতামূলকভাবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করতে বলা হবে।
এদিকে আজ থেকে কলকাতায় অ্যাপ নির্ভর ক্যাব এবং মিটার ট্যাক্সি সীমিত সংখ্যায় চালু হয়েছে। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, ট্যাক্সি বা এ ধরনের যে সব অ্যাপ্লিকেশন নির্ভর পরিষেবা রয়েছে সেগুলি একমাত্র জরুরি সেবা কাজেই ব্যবহার করা যাবে। কোন ক্রমেই দু'জনের বেশি যাত্রী ট্যাক্সিতে উঠতে পারবেন না এবং তাঁরা কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, তার সঠিক কারণ ও প্রমাণপত্র সঙ্গে থাকতে হবে। বিশেষত স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্স এবং ঐ ধরনের সেবা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা, অথবা যাঁরা অত্যাবশ্যক পরিষেবায় নিযুক্ত আছেন, তাঁদের কথা ভেবেই এই ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ধরে নেওয়া যাচ্ছে যে আর কয়েকদিন পরে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে আর একটু ছাড় দেওয়া হবে।
Your browser doesn’t support HTML5