যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম একটি প্রধান স্বাস্থ্য স্থাপনা পরিদর্শনের সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স গতকাল বলেন যে, এক লক্ষ আমেরিকান যারা কভিড নাইন্টিন থেকে রোগমুক্ত হয়েছেন তাঁরা যেন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের সম্ভাব্য সাহায্যের জন্য রক্তের প্লাজমা বা রক্তলসিকা প্রদান করেন।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মায়ো ক্লিনিকে পেন্স বলেন, কোন কোন চিকিৎসক বলছেন যে যারা এই প্লাজমা থেরাপি পেয়েছে, তারা রেস্পিরেটারে থাকার পরও সুস্থ্য হয়ে উঠেছে। তাই গোটা দেশেই যারা করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন এবং পরবর্তী ১৪ দিন এই সংক্রমণ থেকে যদি মুক্ত থাকেন তা হলে, রক্ত দান করুন।
তবে ঐ হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের চিকিৎসকরা ভাইস প্রেসিডেন্টকে বলেন, যদিও কনোভাইরাসে সংক্রমতি রোগীদের প্লাজমা থেরাপি গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহব্যঞ্জক খবর রয়েছে, এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন নিশ্চিত গবেষণা হয়নি।
মিনেসোটায় পেন্সের এই ঝটিকা সফরের লক্ষ্য ছিল দেশব্যাপী লোকজনকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সনাক্তের জন্য পরীক্ষার ব্যাপারটিকে তুলে ধরা। এ দিকটিতে গোড়াতে অন্যান্য দেশের তূলনায় যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে ছিল। এই সফরে তিনি রোগীদের দেহে সক্রিয় জীবাণু সম্পর্কে চলমান গবেষণার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
তবে ঐ স্থাপনার ভেতরে মুখে মাস্ক না পরার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার শিকার হন। সেখানে এ রকম ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রয়োজন ছিল। গোল টেবিল আলোচনায় এক মাত্র পেন্স কোন মাস্ক পরেননি। পেন্স অবশ্য সংবাদদাতাদের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমাকে নিয়মিত করেনাভাইরাসের ব্যাপারে পরীক্ষা করে দেখা হয় এবং আমার চারপাশে যারা রয়েছেন তাদেরও পরীক্ষা করা হয়েছে। পেন্স আরো বলেন যে, তিনি রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে চলছেন যে যারা সংক্রমতি হয়েছেন তারা যাতে COVID-19 এর জীবাণু না ছড়াতে পারেন তাদের জন্য মুখে এই সুরক্ষা ভাল।