সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনায় ১ বাংলাদেশী আক্রান্ত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ জন বাংলাদেশী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩৪ বছর বয়সী এই বাংলাদেশীর নাম প্রকাশ করেনি দেশটি। আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, আক্রান্ত বাংলাদেশীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এর আগে সিঙ্গাপুরে ৫ জন বাংলাদেশী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে একজনের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন দুই রোগীসহ ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসার মাধ্যমে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকি আটজনকে বিশেষ চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত বাংলাদেশী চীন সফর করেননি। সম্ভবত চীন ফেরত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন।

ওদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।শনিবার রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আইইডিসিআরের প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে মীরজাদী সেব্রিনা এসব কথা বলেন।

আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, চীনফেরত মানেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত তা নয়। কোভিড-১৯ নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। চীনফেরত ভাড়াটেকে বাড়িওয়ালা বাসায় ঢুকতে দেননি এমন ঘটনাও ঘটেছে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের ফেসবুকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের স্ট্যাটাস দেয়া প্রসঙ্গে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘আক্রান্ত সন্দেহে একজনের গোপন তথ্য এভাবে প্রকাশের ঘটনায় আমরা বিব্রত।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৭৬ হাজার ৭৬৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২১ জন। এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ২ হাজার ২৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১৮ জন।

চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ২৬টি দেশে। চীনের বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। চীনের বাইরে মারা গেছেন ৮ জন। মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, নানা কারণে চীনের পরেই সিঙ্গাপুরকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, চীনের পরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়, এরপর জাপানে। এখন এই দুটি দেশের পরিস্থিতিও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট