বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও জনস্বাস্থ্যের ওপর ট্রান্স ফ্যাট গ্রহনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে।
বৃহস্পতিবার ডব্লিউএইচও এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর যে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় তার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ঘটে বিশ্বের ১৫টি দেশে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তারপরেও খাদ্য প্রস্তুতকারীরা ট্রান্স ফ্যাট ব্যবহার থামাচ্ছে না বলে উল্লেখ করে এতে বলা হয় কারণ এটি অনেকদিন যাবত ভালো থাকে এবং তুলনামূলক দাম কম ও একইসঙ্গে খাদ্যের স্বাদও বৃদ্ধি করে।
ট্রান্স ফ্যাটের ব্যাবহার যে ১৫টি দেশে সবচেয়ে বেশি সে তালিকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, লাটভিয়া ও স্লোভেনিয়া ইতোমধ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত ট্রান্স ফ্যাটের ব্যাবহার সর্বোচ্চ পরিমাণ ২ গ্রামে সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। বাকি যে ১১টি দেশ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নেয় নাই তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। এই ১১ টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ইরান, ভারত, মেক্সিকো, নেপাল, পাকিস্তান, কোরিয়া, মিশর, আজারবাইজান, ভুটান ও ইকুয়েডর।প্রতিবেদনে বলা হয় এখন পর্যন্ত ৫৮টি রাষ্ট্র ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করেছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩২০ কোটি মানুষ এই আইনের আওতায় চলে আসবে। তবে এখনো একশরও বেশি রাষ্ট্রের ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে ডব্লিউএইচও উল্লেখ উল্লেখ করেছে। দেশের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আফজালুর রহমানের কাছে প্রাণঘাতী এই ট্রান্স ফ্যাটের হাত থেকে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ তা জানতে চাইলে তিনি ভয়েস অফ অ্যামেরিকাকে বলেন ট্রান্স ফ্যাট ব্যাবহারের বিষয়ে সরকারকে যেমন ব্যবস্থা নিতে হবে তেমনি জনগণকেও ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবিলম্বে ট্রান্স ফ্যাট ব্যাবহার বন্ধের জন্য আইন প্রণয়ন করতে বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন।
Your browser doesn’t support HTML5