মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই সেনা সদস্য এখন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বিজিবি’র জিম্মায়। বিজিবির তরফে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজিবির উপ-মহাপরিচালক খন্দকার ফরিদ হাসানের ধারণা, মিয়ানমারের কোন একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন তাদের অপহরণ করেছিল। খন্দকার ফরিদ আরও জানান, যৌথ অভিযান দেখে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পালিয়ে গিয়েছিল। এর পর এই দুইজনকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের অনুরোধে এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অরক্ষিত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মাঝে মধ্যেই যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির এই উপ-মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তে কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী ক্যাম্প নেই।
ওদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছিল, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ডেপুটি সার্জেন্ট নাইং টুন এবং খিন ল্যাটকে কিছুদিন আগে একটি আরাকানি মিলিশিয়া গ্রুপ অপহরণ করে। তাদের বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে খবরে বলা হয়। বিষয়টি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকেও তারা জানিয়েছিল। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের নিয়ে টানাপড়েনের এক পর্যায়ে গত ১৭ই জুন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীতে বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গোলাগুলি হয়। এতে এক বিজিজি সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। আব্দুর রাজ্জাক নামে বিজিবির এক নায়েককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। গত ২৬শে জুন নায়েক রাজ্জাককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
Your browser doesn’t support HTML5