পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট চালু হয়েছে। ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির আওতায় রোববার ঢাকা থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট চেন্নাই যাওয়া-আসা করেছে। ফ্লাইটটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার মধ্য দিয়ে আবারও খুলল দুই দেশের আকাশপথ। ইউএসবাংলার বিএস-২০৫ চেন্নাই ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ১৩৫ জন যাত্রী নিয়ে চেন্নাই যায়। এছাড়াও ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে আরও দুটি ফ্লাইট আসা-যাওয়া করেছে আজ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট চলাচল করেছে কলকাতা রুটে। আবার কলকাতা থেকে আসা-যাওয়া করেছে ইন্ডিগো’র একটি ফ্লাইট।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মাফিদুর রহমান মিডিয়াকে জানান, এই চলাচলে যাত্রীদের করোনার সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। যথারীতি ৭২ ঘন্টা আগে করোনা আরপিসিআর পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে সরকারি কেন্দ্র থেকে। দুই দেশের নিয়ম অনুসারে যাত্রীরা কোয়ারান্টিনে থাকবেন। বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ৭ই সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার দুটি ফ্লাইট চালাবে তারা। এরপর চালু হবে ঢাকা-দিল্লি ফ্লাইট। আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে রোববার ও বুধবার দিল্লিতে বিমান যাওয়া-আসা করবে। সপ্তাহে থাকবে দুটি ফ্লাইট। বাংলাদেশে ভারতের তিনটি ফ্লাইটও ঢাকা আসার অনুমতি পেয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো দুটি এবং স্পাইস জেট তিনটি করে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পেয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকরা বিজনেস ও মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারত যাচ্ছেন।পর্যটক ভিসা পুরোপুরি বন্ধ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটক ভিসা চালু হবে না। ভারতীয় নাগরিকরাও বিজনেস ভিসা নিয়ে আসছেন বাংলাদেশে। এছাড়া বিশেষ ক্যাটাগরিতেও ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
করোনা মহামারীর মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথম দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয়। পরে ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে চলতি বছর এপ্রিল মাসে দুই দেশের ফ্লাইট ও সীমান্ত আবারও বন্ধ হয়। দুই দেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার পর আবারও চালু হলো ফ্লাইট। সীমান্তপথ আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে। জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে অনেক রোগী সড়কপথেও ভারতে আসা-যাওয়া করছেন দুই মাস ধরে। আখাউড়া ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি আসা-যাওয়া করেন ভারতে।