বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-কে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যবহার করতে হবে। ভারতীয় প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলার উল্লেখ করে এই খবর দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দ্য হিন্দুকে বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের যেসব স্থানে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে এবং বাংলাদেশী নাগরিকগণ গুলিবিদ্ধ হন সেসব স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনা কমিয়ে আনতে চিহ্নিত স্থানগুলোতে অতিরিক্ত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজিবি’র সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক আইন ভঙ্গ করলে তাদের গ্রেফতার করা যেতে পারে। কিন্তু হত্যা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু আছে। কোন স্থান থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর জেনোসাইড স্ট্রাডিজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, তিন বছর সীমান্ত হত্যা কমলেও ২০১৯-এর শেষ দিকে এসে হঠাৎ তা বেড়ে গেছে। শুধুমাত্র গত জানুয়ারিতেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ’র হাতে নিহত হয়েছেন ১২ জন বাংলাদেশী। করোনার এই সময়ে বিশ্ব যেখানে থমকে গেছে, সেখানে এপ্রিল মাসে বিএসএফ ৪ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্তে সশস্ত্র ঘটনাবলী ঘটা উদ্বেগজনক বলে এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্ট্রাডিজের প্রধান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।চীনের দক্ষিণ-এশিয়া নীতি এবং দেশটির সাথে বাংলাদেশের ক্রমশঃ সম্পর্ক উন্নয়নের কারণে এমনটি ঘটছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তিনি তা মনে করেন না।ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে হত্যাসহ এসব ঘটনাবলী ভারতের নিজ স্বার্থেই শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা প্রয়োজন।
Your browser doesn’t support HTML5