অর্থনৈতিক সক্ষমতা- শ্রীলঙ্কা, সুদানের পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ অনেকটা নাটকীয়ভাবে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ রাখতে শুরু করেছে। একসময় দেশটি ছিল অতি দরিদ্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার তাই মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। ৪৬ বছর পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, বাংলাদেশ এখন বিস্ময়কর সফলতার এক ঠিকানা। দেশটির মাথাপিছু আয় এখন ২২২৭ ডলার। ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতের মাথাপিছু আয় ১৯৪৭ ডলার। পাকিস্তান অনেক পেছনে। দেশটির মাথাপিছু আয় ১৫৪৩ ডলার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

যাইহোক, কি এমন ঘটলো যে বাংলাদেশ একের পর এক চমক সৃষ্টি করছে? অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে তিনটি কারণ। রপ্তানি, সামাজিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক দূরদর্শিতা।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন মনে করেন, অর্থনৈতিক সক্ষমতার পাশাপাশি আরও তিনটি কারণ রয়েছে। সহানুভূতি, অর্থনৈতিক ডিপ্লোম্যাসি এবং রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা।

এই যখন অবস্থা, তখন আচমকা খবর এলো, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে, বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হতে পারলে আমরা কেন পারব না? বুধবার অর্থমন্ত্রণালয় আরও চমকপ্রদ খবর দিয়েছে। বলা হয়েছে, আফ্রিকার হতদরিদ্র দেশ সুদানের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ৬৫ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে আইএমএফ-এর ঋণের বোঝা কমাতে। আইএমএফ-এর কাছ থেকে দেশটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। অর্থনৈতিক সংকট এতোটাই তীব্র দেশটি ঋণ শোধ করতে পারছিল না। দেশে দেশে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠানোর পর বাংলাদেশ এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, সুদান অত্যাধিক ঋণগ্রস্ত ও দরিদ্র রাষ্ট্র। সরকার আশা করে, এই অর্থায়ন দারিদ্র্য বিমোচনে সুদানের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করবে। এক সময় সুদান বৃটিশ কলোনি ছিল। এক চুক্তিবলে ১৯৫৬ সালের ১লা জানুয়ারি দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্মরণ করা যায় যে, গত বছর আফ্রিকার আরেকটি দেশ সোমালিয়াকেও বাংলাদেশ আট কোটি টাকার বেশি অর্থ সাহায্য দিয়েছিল। সেটাও ছিল আইএমএফ-এর ঋণ পরিশোধে।