বাংলাদেশে করোনা একধরনের ছায়াসঙ্গী হয়ে গেছে। সংক্রমণ শুরুর পর ১১০ দিন কেটে গেছে। এই সময়ের মধ্যে করোনার রাশ ধরে রাখা যায়নি। বরং এখন প্রচণ্ড বেগে এগিয়ে চলেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৪৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। যা অতীতে একদিনে এত রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হননি। মৃত্যুর তালিকায়ও কোন পরিবর্তন নেই। এই সময়ে ৩৯ জনের নাম করোনা ডায়রিতে লেখা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনার পিক কখন আসবে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা মত। চীনা বিশেষজ্ঞরাও বলে গেছেন তারা নিশ্চিত নন কখন বাংলাদেশে করোনা পিকে পৌঁছাবে। ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি এন্ড রাইটস এর উপদেষ্টা ডা. আব্দুন নূর তুষার মনে করেন আগামী তিন মাসে হয়তো পিকে পৌঁছে যাবে। ভয়েস অফ আমেরিকার এই সংবাদদাতাকে তিনি বলেন আমরা যাই বলিনা কেন কমপক্ষে দেড় কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে গেছেন। এরমধ্যে ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ সুস্থ হয়েছেন। এখন যা হিসাব দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হয় শতকরা ২০ ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
ডা. তুষার বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে করোনার ঝুঁকিমুক্ত করতে হলে তিন থেকে চার ভাগে ভাগ করা জরুরি। এরপর যা করতে হবে তা হচ্ছে কার্যকর লকডাউন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে অর্থনীতিকে করোনার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। মনে রাখতে হবে অর্থনীতি আলাদা কোন বস্তু নয়। এটা স্বাস্থ্যের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। মানুষের আস্থার সঙ্গে পুরোপুরি যুক্ত। মানুষ বিশ্বাস করে বলেই ব্যাংকে টাকা রাখে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে। মানুষ বিশ্বাস করে জমির দাম বাড়বে তাই জমি কেনে। অর্থনীতি হচ্ছে ভবিষ্যতের উপর আস্থা। এখন যদি মানুষ মনে করে আপনি করোনা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারবেন তাহলে অর্থনীতি চালু হবে। গণপরিহনে মানুষ উঠবে। শপিংমলে মানুষ যাবে। তাই আগে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
Your browser doesn’t support HTML5