বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ আসলেই কি কমে গেছে? এ নিয়ে হাজারও প্রশ্ন। অনেকেই এর নেপথ্যের কারণও খুঁজছেন। করোনার গ্রাফ ওঠানামা করছে। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করে ভাববার কোন কারণ নেই, করোনা নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বারবার সতর্ক করেছে। ঢাকায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, পরিসংখ্যান যাইহোক, নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই। আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন মনে করেন, সংক্রমণ যদি পাঁচ এর নিচে আসে তখনই বলা যাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখনতো সংক্রমণের হার ১২ এর উপরে। তাই যেকোনো বিবেচনায় আমরা বিপদে আছি। অস্ট্রেলিয়া ও ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে বলে প্রচার করেছিল। বাস্তবে কি ঘটলো! অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন পকেটে লকডাউন দিতে হচ্ছে। নিউজিল্যান্ডতো করোনা কমে গেছে বলে উৎসব করেছিল। এখনতো কারফিউ দিতে হচ্ছে। ডা. মুশতাক বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো দিক থেকে বিপদ আসতে পারে। বৈশ্বিক সমস্যা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মোকাবিলা করতে হবে।
স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৬১৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। একই সময়ে মারা গেছেন ২১ জন। এর আগে ২রা আগস্ট ২১ জন মারা গিয়েছিলেন। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Your browser doesn’t support HTML5