হঠাৎ করেই পাল্টে গেল দৃশ্যপট

হঠাৎ করেই যেন পাল্টে গেল দৃশ্যপট। এদেশে কখনো করোনা ছিল বা আছে তা দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। রাজপথে লম্বা লাইন। দীর্ঘ যানজটে কাবু জনচলাচল। লঞ্চঘাটেও একই দৃশ্য। কাল বাংলাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদ উল আযহা। ঈদকে সামনে রেখে সবাই বেমালুম ভুলে গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন গরজ নেই। অথচ সবাই জানেন করোনা যেকোনো সময় যে কারো বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারে। অবস্থা দেখে মনে হয় তাতেও কোন ডর ভয় নেই। যে করেই হোক বাড়িতে যেতে হবে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে পঁচিশ কিলোমিটার লম্বা লাইন। ছোট বড় ১৬ টি ফেরি সচল রয়েছে। কিন্তু যানবাহনের চাপ এতোটাই বেশি দশ থেকে বারো ঘণ্টা পর্যন্ত অনেককে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা ঢাকা-টাঙ্গাইল রোডে। নৌ পথের চেহারা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভিন্ন। স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। ঘাটের বাইরের দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন এক বিরাট মিছিল যাচ্ছে। সদরঘাট লঞ্চ ঘাটের এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়েছিলেন ফটোসাংবাদিক শাহীন কাওসার। তার ভাষায় কেউ কাউকে পরোয়া করছে না। করোনা তাদেরকে দমাতেও পারছে না।

একদিন আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সবাইকে সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বিপদ হতে পারে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর জোর দিয়ে যাচ্ছেন। এতসবের মধ্যে ব্যতিক্রম শুধু রেলপথে। বাড়তি যাত্রীর কোন চাপ নেই।

রাজধানী ঢাকা অনেক আগেই ফাঁকা হয়ে গেছে। যদিও করোনার ছোবলে আর্থিক সংকটে পড়ে অনেকেই পরিবার পরিজনকে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা ও শনাক্ত বেড়েছে। এই সময়ে দুই হাজার ৭৭২ জন শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের।

Your browser doesn’t support HTML5

হঠাৎ করেই পাল্টে গেল দৃশ্যপট