যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স ইসরাইলী ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি আলোচনার ওপর জোর দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স ইসরাইলী ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি আলোচনার ওপর জোর দিয়েছে।

বুধবার জাতিংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলছেন যে ইসরাইলী-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার কোন সংক্ষিপ্ত পথ নেই এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি এ্ং সংঘাতের নিস্পত্তির জন্যে এক বছরের সময়সূচির প্রস্তাব দিয়েছেন। এ দিকে ফিলিস্তিনি নেতারা জাতিসংঘের পুর্নাঙ্গ সদস্যতার জন্যে শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে তাদেঁর আবেদন দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মি ওবামা বলেন যে শান্তি প্রক্রিয়ায় বিলম্বের হওয়ায় তিনি ও হতাশ তবে তিনি বলেন শান্তি অর্জন হচ্ছে কঠিন কাজ। জাতিসংঘের বিবৃতি , প্রস্তাবের মাধ্যমে শান্তি আসবে না । আসল কথাটা হচ্ছে ইসরাইলী আর ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি বসবাস করতে হবে।

মি সারকোজি বলেন যে ইসরাইলী –ফিপলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়া ৬০ বছর ধরে ব্যর্থ হবার , এখন সময় এসছে কৌশল বদলাবার। দোভাষীর মাধ্যমে মি সারকোজি বলেন , আলোচনা শুরু করার জন্যে এক মাস , সীমান্ত ও নিরাপত্তা বিষয়ে সহমত গঠনের জন্যে ছয় মাস এবং এক বছরের মধ্যে নিশ্চিত চুক্তি করার পরিকল্পনা রাখতে হবে। তিনি জতিসংঘে ফিলিস্তিনী সরকারের অবস্থান পর্যবেক্ষক থেকে উন্নীত করে , সদস্য নয় এই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।

মি ওবামা বুধবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতেনইয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করে , ইসরালের নিরাপত্তার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি আবার ও নিশ্চিত করেন। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এর আগেই বলেন যে ইসরাইলের নিরাপত্তার বিষয়ে আমেরিকার প্রতিশ্রুতি অনড় ; ইসরাইলের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গভীর এবং আমরা বিশ্বাস করি যে টেকসই শান্তির জন্যে ইসরাইলের নিরাপত্তাকে বিবেচনায় নিতে হবে। মি ওবামা পরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কী মুণ এই অধিবেশনের শুরুতেই আরব দুনিয়ায় যারা গণতন্ত্রকামি তাদের সমর্থন করতে বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান । ফিলিস্তিনিদের প্রসঙ্গে তিনি বিশেষত বলেন আমরা বহু আগেই এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছি যে ফিলিস্তিনিদের পৃথক রাস্ট্রের প্রয়োজন। ইসরাইলের দরকার নিরাপত্তা , উভয় চায় শান্তি। আমরা আপোষ নিস্পত্তির মাধ্যমে সেই শান্তির জন্যে নিরলস প্রযাস চালিয়ে যাবো।