আজ যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে নেটো সম্মেলন হচ্ছে। ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নের্তৃত্বধীন যোদ্ধৃ সৈন্য প্রত্যাহার এই সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে প্রধান স্থান পাচ্ছে। এই সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে যেমন পশ্চিমি দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এক ধরণের আশাবাদ রয়েছে , তেমনি আশঙ্কা ও রয়েছে যে গত দশ বছরের পুরো লড়াইটাই কি ব্যর্থ হলো! এবারকার এই নেটো সম্মেলন নিয়ে ইলিনয় স্টেট ইউনাভার্সিটির পলিটিক্স এন্ড গভর্ণমেন্ট বিভাগের প্রধান , অধ্যাপক আলী রীয়াজ , ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া একটি বিশ্লেষণাত্মক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে আফগানিস্তানের যুদ্ধ এখন আর শেষ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। প্রেসিডেন্ট ওবামা তো খুব স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন ২০১৪ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র আসলে কোন ভাবেই প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নিতে রাজি নয়। এই সম্মেলনে অতএব আলোচনার বিষয় তারিখ নয় , কৌশল। তা ছাড়া এই সম্মেলন থেকে বেরিয়ে আসবে এই সত্যটাও যে ২০১৪ সালের পর নেটোর ভুমিকা কি হবে ।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই সাক্ষাৎকারে বলেন যে আফগানিস্তানে শান্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা অপরিহার্য । তিনি বলেন যে পাকিস্তান বরাবরই আফগানিস্তানকে নিজের পশ্চাদভূমি হিসেবে মনে করে এসছে আর সে কারণে তারা আফগানিস্তানে ব্যাপক প্রভাব রাখার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন যে যদি আফগানিস্তানে ভারতসহ অন্যান্য দেশের প্রভাব অব্যাহত থাকে , তা হলে পাকিস্তানি এস্টাবলিশমন্ট সেটা মেনে নেবে না।