আরিয়ানকে রিহ্যাবে পাঠান, শাহরুখকে পরামর্শ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান - ফটো- দ্য ওয়াল

আরিয়ান খানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শাহরুখ খানকে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়নমন্ত্রী রামদাস আঠওয়ালের পরামর্শ, ওকে কোনও রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে পাঠান। শাহরুখ-পুত্রকে গোয়াগামী ক্রুজ থেকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।

বর্তমানে ২৩ বছর বয়সি আরিয়ান মুম্বইয়ের আর্থার রোড সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে করা মন্তব্যে ইঙ্গিত, তিনি প্রকারান্তরে আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক নেওয়া, মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ সত্যি বলে ধরে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "অল্প বয়সে মাদক নেওয়া ভাল নয়। আরিয়ান খানের সামনে ভবিষ্যৎ পড়ে আছে। আমি শাহরুখ খানকে বলব, মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট ডি অ্যাডিকশন অর্থাৎ নেশা ছাড়ানোর রিহ্যাবিলিটেশন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিন। জেলের বদলে ওখানে দুএক মাস থাকুক। সারা দেশে এমন অনেক কেন্দ্র আছে। কিছুদিন থাকলেই নেশা কাটিয়ে উঠতে পারবে।" মাদক নেওয়ায় অভিযুক্তকে যাতে জেলে পাঠানো না হয়, সেজন্য নতুন আইনের দাবি করেন তিনি।

প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় যেভাবে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে তদন্ত করছেন, তারও প্রশংসা করেন আঠওয়ালে। বলেন, "আদালতে অন্ততঃ ৫-৬বার জামিনের আবেদন পেশ হয়েছে। প্রতিবারই তা খারিজ হয়েছে। এথেকেই প্রমাণ এনসিবির পূর্ণ কর্তৃত্ব আছে। আরিয়ানের গ্রেফতারি বেআইনি, বলা যাবে না।"

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের এনসিবি ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে মালদ্বীপ, দুবাইয়ে চলচ্চিত্র দুনিয়ার লোকজনের কাছ থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগেরও সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেন, "সমীর ওয়াংখেড়ের চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন মালিক। আমি তাঁকে অনুরোধ করব, কারও নামে মিথ্যে অভিযোগ করবেন না।"

মালিকের দাবি, "কোভিড কালে গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি মালদ্বীপে ছিল। ওই অফিসার, তাঁর পরিবারও সেখানে গিয়েছিল। ওয়াংখেড়েকে ব্যাখ্যা করতে হবে তিনিও কেন দুবাই, মালদ্বীপ গিয়েছিলেন। আমরা নিশ্চিত, এই তোলাবাজির ঘটনা দুবাই, মালদ্বীপেই হয়েছে। শীঘ্রই তার ছবি পেশ করব।"

ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ইতিমধ্যে খারিজ করেছেন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মুথা অশোক জৈন। বলেছেন, জোনাল ডিরেক্টরের থেকে দুবাই যাওয়ার কোনও আবেদনই আসেনি। তিনি ২০২০র ৩১ আগস্ট লোনের ভিত্তিতে এনসিবিতে যোগ দেন। তারপর তিনি ভারত ছেড়ে দুবাইয়ে ছুটি কাটাতে যাওয়ার কোনও আবেদনই করেননি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে তিনি মালদ্বীপে পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে গিয়েছিলেন।