ঢাকার গুলশানে রেস্তোরায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে জাতীয় শোকের প্রথমদিন পালিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে হামলায় নিহতদের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানাবেন। এদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে আইএস-এর দায় স্বীকার করা সন্ত্রাসী ঢাকায় হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে জঙ্গীবাদকে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসী হামলায় যে ২০ জন নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি এবং ১ জন ভারতীয় নাগরিক। হামলায় যে ৩ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। নিহত ৩ জন বাংলাদেশী হলেন, ফারাজ হোসেন, অবিন্তা কবীর এবং ইশরাত আখন্দ। ফারাজ হোসেন এবং অবিন্তা কবীর যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। এছাড়া ভারতীয় নাগরিক তারুশী জৈন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলের শিক্ষার্থী।
যে ৭ জন জাপানি নাগরিক নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৬ জন ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের পরামর্শক। জাপানি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় সে দেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় এসে পৌছেছেন। তিনি রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেছেন।
গুলশান ঘটনায় হামলাকারীদের সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশী এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হামলাকারীরা স্থানীয় জঙ্গীগোষ্ঠী জেএমবি’র সদস্য, কোনোক্রমেই আইএস-এর সাথে সম্পৃক্ত নয়। পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, নিহত ৬ জন জঙ্গীর মধ্যে ৫ জন তালিকাভুক্ত এবং তাদের ধরার জন্য খোজা হচ্ছিল। যে ৫ জনের ছবি আইএস প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন তাদের সহপাঠি ও বন্ধুরা। এদের একজন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলে রোহান ইমতিয়াজ, অপরজন নিব্রাস ইসলাম- ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। আরেকজন মীর সাবিহ মাহবুব- ঢাকার স্কলাসটিকা স্কুলের ছাত্র। তবে আইএস-এর দেয়া নাম এবং পুলিশ যাদের খুজছে সেসব নামের সাথে এই নামের কোনো মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।...ঢাকা থেকে আমীর খসরু
Your browser doesn’t support HTML5