তথ্য প্রযুক্তির আইনের ৫৭ ধারার অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং এই আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন মানবাধিকার কর্মী, সংবাদ কর্মী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীসহ সচেতন নাগরিকরা। তারা বলছেন, এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে ব্যক্তির বাক, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতাকে খর্ব করে যথেচ্ছভাবে অপব্যবহার করা যায়। এটা সংবিধান বিরোধী। সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে গ্রেফতার করার পরে এ নিয়ে বিতর্ক প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি মূল তথ্য প্রযুক্তি আইনে যুক্ত করা হয় ২০১৩ সালে। ৫৭ (১) ধারায় বলা হয়, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুনœ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। ৫৭’র ২ অনুযায়ী, এই অপরাধের জন্য ৭ থেকে ১৪ বছর কারাদন্ড এবং অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থ দন্ড হবে।
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, এই আইনটি যত্রতত্র অপপ্রয়োগ এবং খেয়াল-খুশি মতো অপব্যবহার করা সম্ভব।
তবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, ৫৭ ধারার সঙ্গে সংবিধানের মৌলিক অধিকার বা বাক স্বাধীনতার সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাইবার অপরাধ দমনে সমন্বিত যে আইন করা হচ্ছে তা শেষ হলেই দেখা হবে তথ্য প্রযুক্তির আইনের ৫৭ ধারার প্রয়োজন আদৌ আছে কি নেই। ...ঢাকা থেকে আমীর খসরু
Your browser doesn’t support HTML5