বিশিষ্ট ভারতীয় নৃত্যশিল্পী অমলাশঙ্কর আজ ভোরে কলকাতায় তার বাসভবনে ঘুমের মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। বয়েস হয়েছিল ১০১ বছর। তাঁর নাতনি শ্রীনন্দাশঙ্কর জানিয়েছেন, বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অমলাশঙ্করের সারা পরিবারই তারকাখচিত। স্বামী কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যপরিচালক উদয়শঙ্কর, দেবর বিশ্ব বিখ্যাত সেতার শিল্পী রবিশঙ্কর, আর ছেলে আনন্দশঙ্কর, যিনি বেশ কিছু বছর হল অকাল প্রয়াত হয়েছেন তিনিও ছিলেন একজন যন্ত্রসংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক। নৃত্যশিল্পী পুত্রবধূ তনুশ্রীশঙ্করই এখন আনন্দশঙ্করের আরব্ধ কাজ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অমলাশঙ্করের মেয়ে মমতাশঙ্করও একজন নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী।
অমলাশঙ্করের জন্ম অবিভক্ত ভারতের যশোরে, অধুনা বাংলাদেশে। বাবা-মার সঙ্গে হিমালয়ের কোলে আলমোড়ায় উদয়শঙ্কর নৃত্য একাডেমিতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়েস মাত্র ১১ বছর। ১৯৪২ সালে উদয়শঙ্কর ও অমলা নন্দী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার মধ্যেই অবশ্য তাঁদের যুগল ও সম্মিলিত নৃত্য সারা ভারত ছাড়িয়ে বিশ্বের রসিক জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ওঁদের দুজনের বহু নৃত্যনাট্য রয়েছে, কিন্তু একটি মাত্র চলচ্চিত্র যা তাঁদের সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে, তার নাম কল্পনা। ১৯৪৮ সালেই সাদাকালো এই ছবি তৈরির খরচ পড়েছিল ২২ লক্ষ টাকা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পুনরুদ্ধারের পরে ২০১২ সালে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ক্লাসিক বিভাগে সেটি দেখানো হয়।
Your browser doesn’t support HTML5
অমলাশঙ্করের নুপুরের নিক্কন থেমে গিয়েছে অনেক বছর হয়ে গেল, এবার থেমে গেল তাঁর জীবনের পথ চলা। সেই সঙ্গে ভারতে একটা যুগের অবসান হলো।
দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা