ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস মুক্ত ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর জোর দিলেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নাগরিক সমাজের ভূমিকা নিয়ে তার মতামত তুলে ধরলেন। ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নানা দিক ঘিরেই ছিল আলোচনা। সবকিছু ছাপিয়ে ছিল রোহিঙ্গা সংকট। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, নিরাপত্তা, সন্ত্রাস এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বিস্তর। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে এলিস ওয়েলস নিজেই সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করলেন।
তিন দিনের এক সফরে এলিস এখন ঢাকা রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে থাইল্যান্ড থেকে ঢাকা পৌঁছান। এর আগেও তিনি কয়েক দফা ঢাকা সফর করেছেন। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে। বলেন, চীনের কাছ থেকে যে ঋণ নিচ্ছে তাতে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন কিনা এই প্রশ্ন করেছিলেন এলিস। বাংলাদেশের জবাবÑ মোটেই না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেন এলিস ওয়েলস। এর জবাবে বাংলাদেশ বলেছে, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য এ আইন নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীর বিচারের রায়ের কাগজপত্র চেয়েছে।
ঢাকায় অবস্থানকালে এলিস ওয়েলস প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। বৃহস্পতিবার যাবেন কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে।
ওদিকে একই সময়ে ঢাকা পৌঁছেছেন ইউএসএআইডি’র উপ-প্রশাসক বনি গ্লিক। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বৈচিত্রময় করে তুলতে সাহায্য করছে ইউএসএআইডি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর জন্য ইউএসএআইডি’র উন্নয়ন সহায়তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আগামী ৭ই নভেম্বর কক্সবাজার সফর করবেন। শরণার্থী শিবির ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন গ্লিক।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।
Your browser doesn’t support HTML5