যুক্তরাষ্ট্র রবিবার, কাবুল বিমানবন্দরের জন্য হুমকিস্বরূপ একটি গাড়ির ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। ঐ এলাকায় আসন্ন হামলার আশংকায় যুক্তরাষ্ট্র সতর্কবার্তা জারি করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী আজ কাবুলে বিমান হামলা চালায়, যা হামাদ কারজাই আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের প্রতি আইএসআইএস-কে-র হুমকির অবসান ঘটায়। তিনি বলেন, তারা আস্থাশীল যে তারা সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পেরেছেন। গাড়িটি থেকে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ সেখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিস্ফোরকের উপস্থিতি ইংগিত করে।
ইসলামিক স্টেট খোরাসান গত বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের বাইরে একটি আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ঐ হামলায় কমপক্ষে ১৭০ আফগান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ জন সেনা সদস্য নিহত হয়। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এক বিমান হামলায় ঐ সন্ত্রাসী গ্রুপটির দুই সদস্য নিহত হয়।
কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস একটি নির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হুমকির কথা উল্লেখ করে, বিমানবন্দরের আশেপাশের এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলে যাবার আহ্বান জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল শনিবার বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে আরেকটি হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা, আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিক এবং তালিবানের হাত থেকে পলায়মান আফগানদের সরিয়ে নেবার সময় আরও হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রবিবার এবিসি'র “This Week” কে বলেন, এরই মধ্যে অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে যাওয়া এই মিশনের শেষ কয়েকটা দিন সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়।
এবিসি চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সেনেটর বেন স্যাসে আফগানিস্তান থেকে মানুষকে সরিয়ে আনার বাইডেন প্রশাসনের পরিকল্পনার সমালোচনা করেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ১২ ঘন্টায় কাবুল থেকে ২,৯০০ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঐ সময়সীমা রবিবার ভোর ৩টায় শেষ হয়। হোয়াইট হাউস আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ১৪ আগষ্ট থেকে এ নাগাদ ১ লাখ ১৪ হাজার মানুষকে সরিযে নিয়েছে বা সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।