কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানী জোলি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে কুইবেকের চার্লেভোইক্স-এ স্বাগত জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫।
বর্তমানে দুই দেশই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছে।
কানাডা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ২৯.৮ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (২০ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের পণ্যের উপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে, যা ১৩ মার্চ থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের স্টীল এবং অ্যালুমিনিয়াম শুল্কের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের স্টীল এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর বাড়ানো শুল্ক ১২ মার্চ (বুধবার) থেকে কার্যকর হয়েছে, কারণ আগের শুল্কমুক্ত কোটা এবং পণ্যের অব্যাহতি মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বাণিজ্য নীতি পুনর্গঠন প্রচেষ্টার অংশ, যা এখন আরও গতি পাচ্ছে।
কানাডা হল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য স্টীল এবং অ্যালুমিনিয়ামের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে কানাডার সাথে একটি বাণিজ্য যুদ্ধের সূত্রপাত করেন। কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং মেক্সিকোর পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ট্রাম্প প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার রপ্তানি করা সমস্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন এবং এরপর এক মাস সময় অতিবাহিত হয়। ট্রাম্প বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ও অবৈধ মাদক, বিশেষ করে প্রাণঘাতী ওপিওয়েড ফেন্টানলের প্রবাহ আরও কমাতে কানাডার ওপর চাপ দিচ্ছেন।
প্রতিক্রিয়ায় কানাডার অন্টারিও প্রদেশের কর্মকর্তারা ১৫ লাখ আমেরিকান গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা বিদ্যুতের ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করেন। এর ফলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক বৃদ্ধির হুমকি দেন।
রুবিও এবং জোলির মধ্যে বৈঠকটি জি-৭ বৈঠকের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।