ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে ফিরতে অপেক্ষা করছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি

Your browser doesn’t support HTML5

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, দুশো ফিলিস্তিনি কারাবন্দির বিনিময়ে হামাস চারজন ইসরায়েলি নারী সৈন্যকে মুক্তি দেওয়ার একদিন পর গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে ফেরার অনুমতি পেতে অপেক্ষা করছে বিশাল সংখ্যক ফিলিস্তিনি। রবিবার, ২৬ জানুয়ারি।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর রবিবার সকাল থেকে উত্তরাঞ্চলে ফেরার জন্য প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষ অপেক্ষা করছে।

অন্য জিম্মিকে মুক্ত করতে বিলম্ব হওয়ায় ইসরায়েল হাজার হাজার গাজাবাসীকে এই ছিটমহলের বোমা-বিধ্বস্ত উত্তরাঞ্চলে প্রত্যাবর্তনে তড়িঘড়ি বাধা দিয়েছে।

হামাস বলেছে, আগামী সপ্তাহে তারা জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং উত্তরাঞ্চলকে পুনরায় খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশকে চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র একে চুক্তিভঙ্গ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, হামাস বলেছে, এটা একটা প্রায়োগিক সমস্যা। হামাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই গোষ্ঠী মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে, ওই নারী জীবিত রয়েছেন এবং আগামী শনিবার তাকে মুক্ত করে দেওয়া হবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গাজার ফিলিস্তিনিদের এই ভূখণ্ডের উত্তরাংশে ফিরতে অনুমতি দেওয়া হবে না।

২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করার পর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের সূচনা হয়।⁣⁣⁣⁣

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ ও বোমাবর্ষণে ৩৮,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের সিংহভাগ নারী এবং শিশু।⁣⁣⁣⁣

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরায়েল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।⁣⁣⁣