যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম দিনে রুবিও জাতীয় স্বার্থের উপর জোর দেন

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্টেট ডিপার্টমেন্টে সহকর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন, পাশে তার স্ত্রী জেনেট রুবিও। ফটোঃ ২১ জানুয়ারি, ২০২৫।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে শপথ নেয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টে আসলে তাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মূল প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে সমবেত সহকর্মীদের রুবিও বলেন যে, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ হবে তার অঙ্গীকারের মূল কেন্দ্র।

“যেকোনো জিনিস যেটা আমাদেরকে আরও শক্তিশালী, আরও নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ করবে,” সেটাই আমাদের মিশন, রুবিও বলেন। তিনি যোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে, কিন্তু কখনো জাতীয় নিরাপত্তার সাথে আপোষ করবে না বা মৌলিক মূল্যবোধ বিসর্জন দেবে না।

রুবিও স্বীকার করেন যে পরিবর্তন অপরিহার্য, কিন্তু সমবেত কর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে “পরিবর্তন আসবে কিন্তু সেই পরিবর্তন ধ্বংসাত্মক কিছু করার জন্য নয়। সেগুলো শাস্তিমূলক হবে না।”

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকান ফরেন সার্ভিসের কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং তার নতুন ভূমিকায় বিশেষ কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

“আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই – যারা বিদেশে কাজ করছেন, অনেকে শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল অঞ্চলে, এবং অনেকে ভঙ্গুর ও বিপজ্জনক এলাকায় … আমি স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের, সেসব দেশের নাগরিক যারা আমাদের সাথে কাজ করে, তাদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই,” রুবিও বলেন।

কোয়াড বৈঠক

স্টেট ডিপার্টমেন্টে তার প্রথম কাজের পর তার ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াডভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠক করার কথা।

তাদের মধ্যে থাকবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওায়া তাকেশি।

জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ওয়াশিংটনে এসেছিলেন।

রুবিওকে সোমবার সেনেটে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়, যার ফলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসনে তাঁর মন্ত্রীসভার প্রথম মন্ত্রী হলেন।

সেনেটে অনুমোদনের শুনানির সময় বুধবার রুবিও পররাষ্ট্রনীতির মূল চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি থেকে হুমকি, ব্যাপক অভিবাসন, মাদক ফেন্টানিল এবং পশ্চিম গোলার্ধে সহিংস অপরাধ চক্র।

তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, মস্কো, তেহরান এবং পিওংইয়াং-এ স্বৈরশাসকরা অস্থিতিশীলতা ছড়াচ্ছে এবং উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করছে।