সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে 'প্রতারণার' অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি 

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে 'চেক ডিজঅনার' করার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আইএফআইসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা গত ডিসেম্বরে সাকিবসহ চার জনের বিরুদ্ধে "চেক প্রতারণার" মামলাটি করেছিলেন।

শনিবার ( ১৮ জানুয়ারি) সাকিবের আদালতে হাজিরা দেয়ার কথা থাকলেও সাকিব সহ আরও একজন আদালতে হাজির হননি তাই রবিবার (১৯ জানুয়ারি) তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।

মামলার বাদী আইএফআইসি ব্যাংকের লোন পারফমেন্স ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, জানিয়েছে উদ্ধৃত করে ঢাকার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো

সাকিব ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেই কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট লীগ খেলতে গিয়েছিলেন, সরকার পতনের পরবর্তী সময়ে আর দেশে ফেরেননি তিনি।

এরপর বাংলাদেশের হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলেছেন কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে তিনি আর ডাক পাননি।

নিরাপত্তার অভাব

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারের কাছে দেশে নিরাপদে ক্রিকেট খেলার জন্য অনুরোধ করেছেন কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড শেষ পর্যন্ত সাকিবের নিরাপদে দেশে ফেরা এবং আবার ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল সে সময়।

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোথাও কোনও জনরোষে যদি জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে সাকিবের বিরুদ্ধে সেখানে কিছু করার থাকবেনা।

আসিফ মাহমুদ বলেন, “সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে যদি ক্ষোভ থাকে, তাহলে, মনে করুন, আমার নিরাপত্তার জন্য পাঁচজন পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন গানম্যান থাকেন। আমার উপরে যদি দেশের ১৬ কোটি জনগণের ক্ষোভ থাকে, তাহলে তারা আমাকে কী নিরাপত্তা দেবেন?”

এরপর কাউন্টি ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল এবং দুই দফায় অ্যাকশন নিরীক্ষার পর আইসিসি শেষ পর্যন্ত জানিয়েছে এক বছর সাকিব শুধু ব্যাটার হিসেবে পেশাদার ক্রিকেট খেলতে পারবেন।

এই কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলেও সুযোগ পাননি তিনি।

অনেকের মতেই সাকিব বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বসেরা ক্রিকেটার।

তবে নানা সময়ে শৃঙ্খলাজনিত কারণে সাকিব সমালোচিত হয়েছেন, এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।