ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার অভিযোগ তুলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির নানা শর্ত থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে হামাস। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠীটি সব শর্ত না মানলে এই চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিতে তার মন্ত্রিসভা বৈঠক করবে না।
নেতানিয়াহুর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস “শেষ মুহূর্তে নানা ছাড় আদায়ের” চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও একাধিক পশ্চিমা দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
কয়েক মাস ধরে বোঝাপড়া ও সমঝোতার পর বুধবার ঘোষিত বহু পর্যায় সম্বলিত এই যুদ্ধবিরতি যদি পুরোপরিভাবে অনুমোদিত হয় তাহলে তা রবিবার থেকে কার্যকর হবে।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বলেছেন, গাজা ভূখণ্ডে বৃহস্পতিবার একাধিক প্রাণঘাতি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা বলেছে, তারা গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত। জাতিসংঘ বলছে, এই ভূখণ্ডের ২৩ লক্ষ জনসংখ্যার কমপক্ষে ১৯ লক্ষ বাস্তুচ্যুত এবং আবাসনের ৯২ শতাংশই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ বুধবার এই চুক্তি ঘোষণার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে তার জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
তবে, এই সরকারের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এই চুক্তির প্রধান বিরোধীদের অন্যতম। তিনি একে “ইসরায়েল রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য খারাপ ও বিপজ্জনক চুক্তি” বলে অভিহিত করেছেন।
এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ে রয়েছে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ৩৩ জন জিম্মির মুক্তি, ইসরায়েল থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পর্যায়ক্রমিক প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য ত্রাণের বর্ধিত সরবরাহ।
প্রথম পর্যায় চলাকালে দ্বিতীয় পর্যায়ের বিস্তারিত বিষয় নিয়ে সমঝোতা হবে; এবং নজরে থাকবে সংঘাতের স্থায়ী সমাপ্তি, বাকি জিম্মিদের মুক্তি ও পূর্ণ ইসরায়েলি প্রত্যাহার।
চূড়ান্ত পর্যায়ে নতুন সরকার ও নিরাপত্তা কাঠামো দিয়ে গাজাকে পুনর্নিমাণ করাই লক্ষ্য।