ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর জাকার্তায় আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেন। বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বেইজিং তার প্রভাব বাড়ানোয় চীনকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে ভারত। ফাইল ছবি।  

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বুধবার বলেন, ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তিনি বলেন, প্রধান বাণিজ্য রুটে শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি তার দেশের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।

রাজনাথ সিং কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২০ সালে ভারত-চীনের হিমালয় সীমান্তে সংঘর্ষে ২৪ জন সেনা নিহত হওয়ায় চীনের সাথে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটার পরথেকে চীন ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন ৩৭০টির বেশি জাহাজ নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী।

ভারতীয় মহাসাগরের দ্বীপ দিয়েগো গর্সিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের একটি যৌথ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।

ধারাবাহিক আলোচনার পর অক্টোবরে একটি চুক্তি হওয়ার পর চীন ও ভারতের সেনারা দুটি মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তবে ভারতের সেনাপ্রধান এই সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, “একটি বিষয়ে অচলাবস্থা” এখনো অব্যাহত রয়েছে।

মুম্বাই শহরে একটি সাবমেরিন এবং দুটি নৌবাহিনীর জাহাজ প্রবর্তন করার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় একটি অংশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল দিয়ে অতিবাহিত হয়। ভূ-কৌশলগত কারণে এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও অংশ হয়ে উঠছে।”

তিনি বলেন, ভারতের বাণিজ্যের ৯৫ শতাংশই ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলের সাথে যুক্ত। "এই পরিস্থিতিতে একটি শক্তিশালী ভারতীয় নৌবাহিনীর উপস্থিতি আমাদের সর্ববৃহৎ অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে," তিনি বলেন।

বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বেইজিং প্রভাব বাড়ানোয় চীনকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে ভারত।

নয়াদিল্লি ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৭৫টি জাহাজের শক্তিশালী নৌ বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা করেছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি উপাদান ব্যবহারের ওপর নয়াদিল্লি ক্রমবর্ধমানভাবে জোর দিচ্ছে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জাহাজের নির্মাণের গতি চীনের তুলনায় ধীর। চীন যেখানে বছরে প্রায় ১৪টি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে, সেখানে ভারতের জাহাজ নির্মাণের সংখ্যা মাত্র চারটি।