গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৮, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে অগ্রগতি

গাজার সীমান্ত থেকে তোলা ছবিতে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে। ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫।

মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, সেখানে ইসরায়েলের রাতভর হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। ওদিকে ১৫ মাসের যুদ্ধের অবসান এবং কয়েক ডজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে ইসরায়েল ও হামাস একটা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দিকে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

আলোচনায় জড়িত দুজন কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং কয়েক ডজন জিম্মির মুক্তির জন্য হামাস একটি খসড়া চুক্তি গ্রহণ করেছে।

ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা জানান, অগ্রগতি হয়েছে, তবে বিস্তারিত চূড়ান্ত করা হচ্ছে। গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরে দুটি বিমান হামলায় দুজন নারী ও তাদের চার শিশু সন্তান নিহত হয়েছে। শিশুদের বয়স ছিল এক মাস থেকে ৯ বছরের মধ্যে। আল-আকসা মার্টার্স হাসপাতাল জানায়, নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী ছিলেন। গর্ভের শিশুটিও বাঁচেনি।

ইউরোপিয়ান হসপিটাল জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে দুটি বিমান হামলায় আরও ১২ জন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইসরায়েল বলছে, তারা কেবল জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু করে। ইসরায়েল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় কেন্দ্র এবং তাঁবু শিবিরে বেসামরিক মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকার অভিযোগ আনে।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। সে সময় জঙ্গিরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং প্রায় ২৫০ জনকে অপহরণ করে। গাজায় এখনো আটক থাকা ১০০ জন জিম্মির মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে গাজায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য করেনি; তবে তারা জানায়, নিহতদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।