বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি অস্থায়ী দাতব্য রান্নাঘরে খাবারের জন্য অপেক্ষা

Your browser doesn’t support HTML5

দক্ষিণ গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ভিড়ের মধ্য দিয়ে ধস্তাধস্তি করে একমুঠো ভাত বা স্যুপ জোগার করার চেষ্টা করছে। দিনের পর দিন তাদের জীর্ণ তাঁবুতে মানবেতর জীবন-যাপন এবং দাতব্য রান্নাঘর থেকে লড়াই করে খাবার জোগার করার মত করুন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে গাজার ২৩ লক্ষ জনসংখ্যার প্রায় পুরোটাই বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ব্যাপক সেখানে ব্যাপক খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার খান ইউনিস শহরের একটি দাতব্য সংস্থায়, অপেক্ষমান ফিলিস্তিনিরা ধাক্কাধাক্কি করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে এবং কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। এই কর্মীরা মানুষের প্লাস্টিকের বালতি বা ধাতব পাত্রে ভাত তুলে দিচ্ছিলো।

হামজা সালেহ, যিনি উত্তরে জাবালিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন, বলেছেন যে তাকে তার স্ত্রী এবং ছেলের জন্য খাবার জোগাতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।

ইসরায়েলের গাজা উপত্যকায় সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং নিয়ন্ত্রণ এবং এই অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার কারণে মানবিক গোষ্ঠীগুলির জন্য সাহায্য সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে হামাসকে মানবিক সহায়তা প্রদানকে হাইজ্যাক করার জন্য অভিযুক্ত করেছে, যখন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন যে সাহায্যের কোনও পদ্ধতিগত পরিবর্তন নেই।

হামাসের নেতৃত্বাধীন জঙ্গিরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়, প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২৫০ জন অপহৃত হয়। সেই থেকে এই যুদ্ধ শুরু হয়। গাজায় জিম্মি ১০০ জনের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মারা গেছে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলায় ৪৬০০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে। নিহতদের অন্তত অর্ধেক শিশু এবং নারী।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা ১৭,০০০ এরও বেশি জঙ্গিকে হত্যা করেছে, তবে তারা কোন প্রমাণ দেয়নি। ইসরায়েল বেসামরিক জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর জন্য হামাসকে দায়ী করে আসছে কারণ তাদের দাবী হামাস জঙ্গিরা আবাসিক এলাকায় তৎপর রয়েছে।