ইউক্রেনের জেলেন্সকি মিত্রদের কাছে আকাশ হামলা প্রতিরোধে আরও সহায়তা চাইবেন

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরের দৃশ্য। ফাইল ফটোঃ ৮ জুলাই, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এ মাসের শেষের দিকে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। তিনি ইতোমধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার অঙ্গীকার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলছেন তিনি চলতি সপ্তাহে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে আবারও মিত্রদের কাছে আকাশ হামলা প্রতিরোধে বাড়তি সহায়তা চাইবেন।

বৃহস্পতিবার র‍্যামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে র‍্যামস্টেইন গ্রুপের বৈঠকে কয়েক ডজন অংশীদার দেশ যোগ দেবেন বলে জানান জেলেন্সকি। “শুধু ক্ষেপণাস্ত্র নয়, গাইডেড বোমা ও রুশ বিমানহামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার (ইউক্রেনীয়) সক্ষমতা বাড়াতে পারবে এমন অংশীদাররাও এই বৈঠকে অংশ নেবেন”, জানান তিনি।

“আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং বারবার অনুরোধ জানাতে থাকব”, শনিবারের রাত্রিকালীন বক্তব্যে এ কথা বলে জেলেন্সকি। “লক্ষ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি: আমরা আমাদের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে চাই”।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের জন্য সামরিক সাহায্য অব্যাহত রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ফাইল ফটোঃ ৬ নভেম্বর, ২০২৪।

ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের আগের শেষ কয়েক সপ্তাহের মেয়াদে বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে যত বেশি সম্ভব সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি এক দিনে এই যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন। তার এই মন্তব্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে কী না।

গত সপ্তাহে জেলেন্সকি বলেন, ট্রাম্প “শক্তিশালী ও তিনি কি করবেন, তা আগে থেকে পূর্বাভাষ দেওয়া যায় না” এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাশিয়া ইউক্রেনের এক পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। গত বছর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দেশটি পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে এগিয়েছে। তবে এ সময় তারা বড় আকারে সেনা ও উপকরণ হারিয়েছে। যুদ্ধের বর্তমান গতিপ্রকৃতি ইউক্রেনের অনুকূলে নেই। যুদ্ধক্ষেত্রে যথেষ্ঠ ইউক্রেনীয় সৈন্য নেই এবং তারা পশ্চিমা অংশীদারদের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল।