তালিবান বলছে, আফগান নারী কর্মী নিয়োগকারী এনজিওগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে 

তালিবান যোদ্ধারা কাবুলে পাহারা দিচ্ছে। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি। 

তালিবান জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানের যেসব দেশী-বিদেশী এনজিওতে নারীদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়, সেই এনজিওগুলো বন্ধ করে দেবে। দুই বছর আগে তারা এনজিওগুলোকে আফগান নারীদের চাকরি স্থগিত করতে বলেছিল। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছিল, নারীরা সঠিকভাবে হিজাব পরেন না।

রবিবার রাতে প্রকাশিত একটিতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, সর্বশেষ আদেশ না মানলে এনজিওগুলো আফগানিস্তানে কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স হারাবে।

মন্ত্রণালয় বলছে, দেশি-বিদেশি সংস্থার সব কার্যক্রমের নিবন্ধন, সমন্বয়, নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার আবারও তালিবান নিয়ন্ত্রিত নয় এমন প্রতিষ্ঠানে নারীদের সব ধরনের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে।

সহযোগিতার ঘাটতি দেখা দিলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বাতিল করা হবে এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত কাজের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে।

এনজিও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ বা হস্তক্ষেপের জন্য এটি তালিবানের সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা।

এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, আফগান নারী মানবিক সহায়তাকর্মীদের একটি বড় অংশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে, যদিও ত্রাণ তৎপরতা এখনো অপরিহার্য রয়ে গেছে।

জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টম ফ্লেচার জানান, তালিবানের নীতি পুলিশ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নারী বা পুরুষকর্মীদের আটকে দিয়েছে এমন অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে।

সহায়তা সংস্থাগুলোকে তাদের কাজ চালাতে বাধা দিচ্ছে বা তাদের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে এমন অভিযোগ তালিবান অস্বীকার করেছে।

তারা ইতোমধ্যে নারীদেরকে অনেক চাকরি এবং বেশিরভাগ পাবলিক স্পেস থেকে নিষিদ্ধ করেছে এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়াশোনা করাকেও নিষিদ্ধ করেছে।

তালিবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নির্দেশ দিয়েছে, কোন নারী যেখানে বসতে পারেন বা দাঁড়াতে পারেন, সেদিকে কোনো ভবনের জানালা লাগানো যাবে না।