দক্ষিণ কোরিয়ায় শোকের মাঝে বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাস্থলে শোকার্ত এক পরিবার। ফটোঃ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪।

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জনের নিহত হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করছে তদন্তকারীরা। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক সোমবার সোল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে মুয়ানে একটি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, কর্মকর্তারা দেশে চলাচলকারী বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানের সবগুলো নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তের পরিকল্পনা করেছেন।

বিধ্বস্ত বিমানটির ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার বিশ্লেষণের জন্য চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে সোলের একটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড-এর কয়েকজন সদস্য এই তদন্তে অংশগ্রহণ করবে।

রবিবারের দুর্ঘটনা ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক বিমান দুর্ঘটনার একটি। বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে কনক্রিটের বেড়ায় ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায়।

জেজু এয়ার সংস্থার কর্মকর্তারা দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের শোকার্ত পরিবারের সামনে মাথা নত করে ক্ষমা চাইছেন। ফটোঃ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪।

সোমবার সকাল পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ নিহতদের কয়েকজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ধ্বংসস্তূপ থেকে দুজনকে জীবিত বের করে আনা হয়। তাদের দুজনই ক্রু সদস্য।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দুর্যোগের প্রেক্ষিতে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান কাউন্টিতে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবরে মহাসচিব গভীরভাবে শোকাহত।’

কোরিয়ান এয়ারের একটি বিমান ১৯৯৭ সালে গুয়ামে বিধ্বস্ত হয়ে দুই শতাধিক আরোহী নিহত হওয়ার পর রবিবারের দুর্ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

দুর্ঘটনার পর জেজু এয়ার ক্ষমা চেয়েছে এবং ‘দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের সংবাদদাতা মার্গারেট বেশীর এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।