ইয়েমেনে হুথিদের স্থানে ইসরায়েলের আক্রমণ; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ছিলেন নিকটেই

ইউজিসি ভিডিও থেকে সামাজিক মিডিয়াতে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে সানা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইসরায়েলি আক্রমণের পর যাত্রীরা দৌড়ে পালাচ্ছেন। ( এএফপি’র মাধ্যমে ইউজিসি) ২৬ ডিসেম্বর,২০২৪।

বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় ইসরায়েলের নতুন দফার বিমান হামলায় হুথি বিদ্রোহীদের সানার রাজধানী ও একাধিক বন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয় । এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহা-পরিচালক বলেন সানায় তিনি যখন বিমানে আরোহণ করতে যাচ্ছিলেন তখন এই বোমার ঘটনাটি ঘটে এবং এতে একজন বিমান কর্মী আহত হন।

টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স’এ বলেন , “ আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, ডিপার্চার লাউঞ্জ ও রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও বলেন যে তিনি এবং তাঁর জাতিসংঘের সহকর্মীরা নিরাপদ আছেন। বোমা হামলার উৎসের কথা উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, “ বিমান বন্দরের ক্ষতি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে এখানেই অপেক্ষা করতে হবে”।

ইসরায়েলি আক্রমণের আগে হুথি বহুদিন ধরে ইসরায়েলে আঘাত করেছে এবং সেখানে আক্রমণের সাইরেন বেজে উঠেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে তারা সানার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের অবকাঠামোতে এবং হোদায়দা আল-সালিফ ও রাস কান্তিব শহরগুলির বন্দর ও বিদ্যূৎ কেন্দ্রে আক্রমণ চালায়। তারা বলছে এই বন্দরগুলি ইরানি অস্ত্র চোরাচালানের জন্য ও ইরানের পদস্থ কর্মকর্তাদের প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা হতো।

সানা বিমান বন্দরের কাছে ইসরায়েলি আক্রমণের পর ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা যাচ্ছে। সানা, ইয়েমেন, ২৬ ডিসেম্বর,২০২৪।

টেড্রোর পোস্ট সম্পর্কে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক কোন সাড়া দেয়নি তবে এক বিবৃতিতে বলেছে তাদের, “ ইসরায়েলের অঞ্চল থেকে অনেক দূর থেকে আক্রমণ করার ক্ষমতা আছে -সুনির্দিষ্ট ভাবে, শক্তির সঙ্গে এবং বার বার”।

ইরান-সমর্থিত হুথির সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাম পোস্টে এই আক্রমণের কথা নিশ্চিত করেছে কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানায়নি। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীও হুথিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

জাতিসংঘ বলেছে, যে বন্দরগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে সেগুলি ইয়েমেন ও দরিদ্র আরব দেশগুলিতে মানবিক সহায়তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ। ২০১৪ সাল থেকে সেখানে গৃহযুদ্ধ চলছে।