রাশিয়া বলছে, পণ্যবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ ছিল ‘সন্ত্রাসী হামলা’ 

পর্তুগিজ নৌবাহিনীর তোলা এই ছবিতে রুশ পণ্যবাহী জাহাজ আরসা মেজরকে দেখা যাচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে”র ফলে একটি পণ্যবাহী জাহাজ ডুবে গেছে বলে বুধবার দাবি করেছে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা। জাহাজটি এই সংস্থার মালিকানাধীন।

অবরনলজিস্টিকা সংস্থা বলেছে, তারা “মনে করে, চলতি বছরের ২৩ ডিসেম্বরে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে আরসা মেজর-এর উপর।” রাশিয়ার একাধিক সংবাদ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে, তবে এই কর্মকাণ্ডের পিছনে কে বা কারা রয়েছে, কেনই বা ঘটানো হল এমন ঘটনা তা নিয়ে তারা কোনও ইঙ্গিত দেয়নি।

সোমবার সাহায্য চেয়ে জরুরিকালীন বার্তা পাঠানোর পর মঙ্গলবার ভোরে স্পেনের অদূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটি ডুবে গেছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাটি আরও বলেছে, জাহাজটি পানিতে ডুবে যাওয়ার আগে “পর পর তিনটি বিস্ফোরণ” ঘটেছে।

আরসা মেজর সন্ত্রাসী হামলার ফলেই ডুবে গেছে—এই বক্তব্যের পিছনে কী তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলেনি অবরনলজিস্টিকা।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংকট মোকাবিলা বিভাগ মঙ্গলবার বার্তাবাহী অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছে, “ইঞ্জিন কক্ষে বিস্ফোরণের পর” জাহাজটি ডুবে গিয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছে, জাহাজে থাকা ১৬ জন রুশ কর্মীর মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের স্পেনের কার্তাজেনা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তবে দুইজন নিখোঁজ।

স্পেনের সামুদ্রিক উদ্ধার পরিষেবা বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, সে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের অদূর থেকে খারাপ আবহাওয়ায় সোমবার সকালে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছিল জাহাজটি; তারা সেই আহ্বান নথিভুক্ত করেছে এবং নাবিকরা লাইফবোট নামিয়েছিলেন।

এই বিভাগ আরও বলেছে, স্পেন হেলিকপ্টার এবং উদ্ধার নৌকা দিয়ে জীবিতদের বন্দরে নিয়ে গেছে।

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র আরসা মেজর-সহ অবরনলজিস্টিকা ও একাধিক জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে কারণ “রুশ-অধিকৃত ক্রাইমিয়াতে পণ্য সরবরাহের জন্য…পরিবহন পরিষেবা” দিয়েছে এগুলি।

ইউক্রেনের জিইউআর সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ বলেছে, সিরিয়াতে রুশ সৈন্য পাঠাতে আরসা মেজরকে ব্যবহার করা হয়েছে। সিরিয়ার টারটাসে মস্কোর নৌ-ঘাঁটি রয়েছে।