পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক

তালিবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ( বামে) এবং আফগানিস্তান বিষয়ক পাকিস্তানের বিশেষ দূত মোহাম্মদ সাদিক আলোচনায় তাদের নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন। কাবুল, ডিসেম্বর ২৪,২০২৪। ( ছবি: তালিবানের সৌজন্যে প্রাপ্ত)

তালিবান নেতারা মঙ্গলবার প্রতিবেশি পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করে । আর এর ফলে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে প্রায় এক দশক ধরে থমকে থাকা আলোচনা আবার শুরু হলো।

আফগান বিষয়ে পাকিস্তানের নতুন নিয়োজিত বিশেষ দূত মোহাম্মদ সাদিক কাবুলে অন্যান্যদের সহ তালিবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে আলোচনায় তাঁর টিমের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে মুত্তাকির দপ্তর বলে যে এই প্রতিনিধিদল দুই দেশের মধ্যে ‍কূটনৈতিক, বানিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। এই দু’টি দেশের মধ্যে প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

তালিবানের প্রধান ‍কূটনীতিক বলেন যে কাবুল , ইসলমাবাদের সঙ্গে “ ইতিবাচক সম্পর্ক চায়”।

বিস্তারিত কিছু না বলে, মুত্তাকি বলেন, বানিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্কের আরও উন্নয়নের জন্য উভয় সরকারকে, “পারস্পরিক সমন্বয় বাড়াতে হবে, সীমান্ত পারপারের জন্য ভ্রমণকারীদের ‍সুবিধা প্রদান করতে হবে এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে যে বিষয়গুলি সম্পর্ককে টান টান করে রেখেছে সেগুলির সুরাহা করতে হবে”।

তালিবানের বিবৃতিতে পাকিস্তানি দূত সাদিককে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে তাঁর মিশন ছিল দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বানিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্ককে উন্নত করা।

পাকিস্তানি দূত তঁর সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স’এ লেখেন, “ ব্যাপক আলোচনা করেছি। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরালো করতে এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও প্রগতির জন্য একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়েছি”।

তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটপি’র সন্ত্রাসী আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হাজার হাজার পাকিস্তানি সামরিক ও বেসমরিক লোকজনকে হত্য করেছে যার ফলে দু দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে।

হাক্কানির দপ্তর তাঁকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে তিনি পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলকে বলেন, “ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমাদের দুটি দেশের মধ্যে সম্পরের সুরক্ষার জন্য আমাদের যৌথ প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করতে হবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হবে”।

ওই বিবৃতিতে বলা হয় তিনি “ নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি নিস্পত্তির জন্য যাতে দ্রুত যৌথ প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করা যা “ তার উপর জোর দেন।

তালিবান নেতারা অবশ্য বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন যে আফগান অঞ্চলকে আক্রমণের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হচেছ। তারা পাকিস্তানের সহিংসতাকে তাদের “অভ্যন্তরীণ সমস্যা” বলেই অভিহিত করেন।

.