নাটোরের শত বছর পুরনো মহাশ্মশানে চুরি, প্রহরীর লাশ উদ্ধার

একটি মন্দির

নাটোরের কাশিমপুর মহাশ্মশানে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে, পুরনো আমলের কাসা, পিতল ও তামার বিপুল পরিমাণ তৈজসপত্র চুরির ঘটনাও ঘটেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম তরুণ কুমার দাশ, স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে তিনি ২৪ বছর ধরে এই মহাশ্মশানের পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ সাংবাদিকদের বলছে, চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা তরুণ কুমারকে হত্যা করতে পারে বলে তাদের মনে হচ্ছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলা লিখেছে, "সকালে গার্ডরা এসে ভেতরে ঢোকার পর মন্দিরে থাকা ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পায়। রশি দিয়ে একটি বেঞ্চির সাথে তার হাত-পাসহ শরীর শক্ত করে বাঁধা ছিলো"।

মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যনারায়ণ রায়কে উদ্ধৃত করে ঢাকার প্রথম আলো বলছে, "সকালে মহাশ্মশান মন্দিরের অন্য কর্মচারী ও পাহারাদারেরা তাঁকে কল করে জানান, শ্মশানের ভোগঘরের বারান্দায় তরুণ কুমারের লাশ হাত ও পা-বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে।"

খবর পেয়ে তিনি শ্মশান কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, দানবাক্স ও ভান্ডারঘরের তালা ভাঙা এবং গ্রিল কাটা।

সম্ভবত তাকে হত্যা করে মন্দিরের টাকা ও বাসনকোসন চুরি করা হয়েছে।

মহাশ্মশান ও মন্দিরটি শত বছরের পুরনো, তাই এই মন্দিরের অভ্যন্তরের নানা মালামালের ঐতিহাসিক একটা মূল্য রয়েছে।