ভোর বেলা ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন এবং শহরের কেন্দ্রস্থলে ৬ টি বিদেশি দূতাবাস ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তাদের সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে তারা শহরে নিক্ষিপ্ত স্বল্প-পাল্লার ইস্কান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে তবে ক্ষেপণাস্ত্রের ভাঙা অংশ ক্ষতি সাধন করেছে এবং তিনটি জেলায় আগুন লেগে যায়। নগর কর্মকর্তারা একাধিক আবাসিক ভবনে, চিকিত্সা কেন্দ্রে এবং স্কুলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা ব্যালিস্টিক আক্রমণের হুমকির খবর পাওয়া মাত্রই অবিলিম্বে সাড়া দিতে বলছেন কারণ তখন আশ্রয় পাবার মতো সময় থাকে না।
কিয়েভে শুক্রবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জর্জি তিখাই বলেন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে একটি ভবনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে যে ভবনটিতে আলবেনিয়া, আর্জেন্টিনা, ফিলিস্তিন, নর্থ মেসিডোনিয়া, পর্তুগাল ও মন্টেনেগ্রোর দূতাবাস রয়েছে। তিনি ওই ভবনের ক্ষতির ছবিগুলো তুলে ধরেন । তবে ওই আক্রমণগুলিতে কারও হতাহত হবার খবর পাওয়া যায়নি।
কিয়েভ ন্যাশনাল লিঙ্গুইস্টিক্স ইউনিভার্সিটি তার ইনস্টাগ্রামে বলেছে তাদের ভবনেও আঘাত লেগেছে এবং দু’টি বিশাল জানালা যে ভেঙ্গে গেছে তার ছবিও পোস্ট করেছে।
রাশিয়া বলছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র দিয়ে কিয়েভ যে রাশিয়ায় আক্রমণ চালিয়েছে, এ ছিল তারই পাল্টা জবাব ।
দক্ষিণের বন্দরনগরী খেরসনের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষও শুক্রবারের আক্রমণের কথা জানিয়েছে।
এ দিকে ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিচার মন্ত্রী ওলগা স্টেফানিশিনা শুক্রবার জানান যে রাশিয়া রাজ্যটির রেজিস্টারগুলিতে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে যার ফলে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ বলেছে যে তাদের তদন্তের মূলধারাটি ছিল যে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি হ্যাকার দল এই আক্রমণের পেছনে ছিল। এই আক্রমণ সম্পর্কে রাশিয়া এখনও কোন মন্তব্য করে নাই।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।