যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক কম্পিউটার চিপে চীন ও রাশিয়ার প্রবেশাধিকার ঠেকাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা ‘ অপর্যাপ্ত’ এবং তাদের উন্নত অস্ত্র তৈরীর সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করতে আরো তহবিলের প্রয়োজন হবে। বুধবার সিনেটের তদন্ত বিষয়ক স্থায়ী উপকমিটি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রায় তিন বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি চিপস চীন ও রাশিয়ার ব্যবহারের ক্ষমতা সীমিত করতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্থাটির ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করার মতো সক্ষমতা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতাদের স্বেচ্ছায় নিয়ম মেনে চলার ওপর তা খুব বেশি নির্ভরশীল।
তবে বাণিজ্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগকে জোরদার করার জন্য চাপ আসার কারণ হলো, আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে তারা ফেডারেল সরকারের আকার এবং পরিধি ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল সরকারের কিছু অংশ ভেঙে দিতে নতুন ‘ ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’র নেতৃত্ব দিতে উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ জানানো হলে ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
বিআইএস-এর প্রায় ১৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের বাজেট মুদ্রাস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য করায় ২০১০ সাল থেকে মূলত একই রয়েছে।
বাণিজ্য বিভাগের মুখপাত্র চার্লি অ্যান্ড্রুস প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেন, “ যদিও বিআইএস-এর বাজেট এক দশক ধরে স্থবির ছিল, ব্যুরো তার মিশন পূরণ করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষার জন্য ২৪ ঘন্টা অধ্যাবসায়ের সাথে কাজ করে।”
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে চিপের জন্য বিনিয়োগ এবং চিপের উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করায় চীনে এ ধরনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
কিন্তু চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং বাণিজ্য রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগের জন্য নিযুক্ত চীনা ভাষাভাষীর অভাব থাকায় চীনা কোম্পানিগুলো রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এড়ানোর উপায় খুঁজে পেয়েছে।