টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা অচিরেই কাটবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যথাসময়েই হবে ইজতেমা।
তিনি বলেন, “ইজতেমা নিয়ে সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত চলছে। সহিংসতাকারীরা কেউ ছাড় পাবে না।”
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জ জেলার আইনশৃংখলা ও সার্বিক পরিস্থিত নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ কথা বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মাওলানা সাদ ও জুবায়ের দুপক্ষই আমাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ছিলেন। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। তাদেরকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি ও নির্বাচনের জন্য পুলিশ প্রস্তুত আছে। পুলিশের ১৮৫ জনের মতো কাজে যোগ দেয়নি। এ সংখ্যা নগণ্য। বাকি পুলিশ সদস্যরা কার্যকরী অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া, র্যাব ও বিজিবি তো রয়েছেই।
নির্বাচনসহ যেকোনো অবস্থা মোকাবিলা করতে কোনো অসুবিধা হবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ সময় মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকারসহ প্রশাসনের সকল বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ, ৪ জন নিহত
এদিকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে আগে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সংঘর্ষের ঘটনায় সাদ ও জুবায়ের অনুসারীদের সঙ্গে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বৈঠক করেন তিনি। এ সময় তিনি সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চারদিক থেকে মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন সাদের অনুসারীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে মাঠ ছেড়ে দেন জুবায়ের অনুসারীরা।
পরে (বুধবার) ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।