উত্তর কোরিয়ার অর্থ-পাচার চক্রজালের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ফাইল: যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের ব্রঞ্জের একটি সীল যা অর্থ ভবনে দেখা যায়। ওয়াশিংটন, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার দু ব্যক্তি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থাপিত একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যে তারা উত্তর কোরিয়ার সাইবার অপরাধকে সহায়তা প্রদানের জন্য তথ্য প্রযুক্তির কর্মীদের অবৈধ ভাবে আহরিত কোটি কোটি ডলার ব্যবহার করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে , যে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা সংয়ুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করেছে যারা অর্থ পাচার ও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তরের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ পিয়ংইয়ংকে পাচার করেছে। জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশনের কাছে এ ব্যাপারে মন্তব্য চাওয়া হলে তারা তাৎক্ষণিক ভাবে কোন জবাব দেয়নি।

অর্থ বিভাগ বলছে, উত্তর কোরিয়ার গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অর্থায়ন রুদ্ধ করার জন্য ওয়াশিংটন মঙ্গলবার এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

অর্থ দপ্তরের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্র্যাডলি স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেন, “ উত্তর কোরিয়া যখন তার গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অর্থায়নের জন্য জটিল অপরাধমূলক পরিকল্পনা, যার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল সম্পদের অপব্যবহার করছে তখন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর এই চক্রজালকে ব্যাহত করতে তৎপর যারা ওই সরকারকে তহবিল প্রাপ্তির সুবিধা সৃষ্টি করছে”।

মঙ্গলবার যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত চীনা নাগরিক লু হুয়াইং এবং ঝাং জিয়ান আর সেই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক গ্রীন অ্যালপাইন ট্রেডিং এলএলসি । এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের যে কোন সম্পত্তি জব্দ করা হয় এবং সাধারণত তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমেরিকানদের নিষিদ্ধ করা হয়। যারা তাদের সঙ্গে কোন রকম লেনদেন করেন, তারাও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে থাকেন।

ওয়াশিংটনে আমিরাতের দূতাবাসের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন জবাব দেয়নি।

গ্রীন অ্যালপাইন ট্রেডিং এলএলসি, লু কিংবা ঝাং এর যোগাযোগের কোন ঠিকানা রয়টার্স তাৎক্ষণিক ভাবে পায়নি।