পেন্টাগন তাদের সর্বশেষ পর্যালোচনায় জানিয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রুশ বাহিনীর সাথে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরাও লড়াই করছে এবং নিহত হচ্ছে।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা রুশ বাহিনীর সঙ্গে থেকে কুরস্কে যুদ্ধ করছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে তারা যুদ্ধে নিহত এবং আহত হচ্ছে। যুদ্ধে “ রাশিয়ার কুরস্কেই কেবল উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা আপাতত সীমাবদ্ধ রয়েছে” বলেও আমরা জেনেছি।
তবে উত্তর কোরিয়ার কি পরিমাণ সৈন্য হতাহতের শিকার সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পেন্টাগন। ভয়েস অব আমেরিকা ওয়াশিংটনে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে এখনো সাড়া দেয়নি।
ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এই মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে কোন উত্তর আসেনি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রশিক্ষণের জন্য তাদের প্রায় ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, উত্তর কোরিয়ার বাহিনী গত সপ্তাহেই কেবল রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ অভিযানে যোগ দিয়েছে। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, কুরস্ক অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার অন্তত ৩০ সেনা নিহত বা আহত হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাদের অংশগ্রহণের সত্যতা নিশিচত করে যুক্তরাষ্ট্র ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শনিবার অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া “উত্তর কোরিয়ার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য ব্যবহার করেছে” এবং উত্তর কোরিয়ার ক্ষয়ক্ষতি “উল্লেখযোগ্য” বলে বর্ণনা করেছেন। সোমবার তিনি অভিযোগ করেন, মস্কো উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের হতাহতের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেওয়া।