২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, "সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কাজ করছে সরকার। নির্বাচন নিয়ে খুব স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এর থেকে ক্লিয়ার রোডম্যাপ কী হতে পারে? প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন।"
এর সাথে তিনি যোগ করেন সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন দেবে।
এর আগে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।"
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, "প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।"
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করেছে কমিশন, জানান প্রধান কমিশনার।
অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সার্ভিসের কমিশন করা জনমত জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চায়। তবে তারা নির্বাচনের আগে সংস্কার কর্মসূচীও সম্পন্ন দেখতে চায়।