গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের শেষকৃত্যের সময় আত্মীয়-পরিজনদের শোক। গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে। ফটোঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ছিটমহলে হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

এই মন্ত্রণালয় বলেছে, এই সংঘর্ষে প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে নিহত বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধাদের আলাদা করা হয়নি। তবে, তারা আগে বলেছিল, নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের দৈনিক আপডেটে জানিয়েছে, গতকাল ৫২ জন নিহত হয়েছে।

নাগরিক প্রতিরক্ষা ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেছেন, রবিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে গাজা সিটি, দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস ও মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, রবিবার তাদের অভিযানের লক্ষ্য ছিল হামাসের এক কম্যান্ড ও নুসেইরাতে এক পরিচালনা ভবন।

ইসরায়েল বারবার অভিযোগ ও দোষারোপ করেছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের অধিকৃত এলাকাগুলির মধ্য থেকে হামাস জঙ্গিরা কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এদিকে, ফিলিস্তিনি ও অধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু আটকাতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস অতর্কিতে হামলা চালানোর পর এই যুদ্ধ শুরু হয়। ওই হামলায় জঙ্গিরা প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। প্রায় ১০০ জন জিম্মিকে এখনও গাজায় আটকে রাখা হয়েছে এবং মনে করা হচ্ছে, এদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রাণ হারিয়েছে।

হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্য কিছু দেশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।