পশ্চিম আফ্রিকা জোটের বৈঠক, সামরিক শাসকদের প্রস্থানের উপর গুরুত্বারোপ

একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাইজেরিয়ার লাগোসে ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)-এর লাগোস অফিসের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন৷ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

রবিবার আঞ্চলিক গ্রুপ ইকোওয়াস-এর পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা নিরাপত্তা নিয়ে এক সম্মেলনে যোগ দেন। নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সামরিক নেতৃত্বাধীন তিনটি সরকারের জোট থেকে প্রস্থানের বিষয়টি সম্মেলনে এজেন্ডার শীর্ষে ছিল।

ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)-এর বৈঠকের আগে বুরকিনা ফাসো, মালি এবং নিজার তাদের জোট ছাড়ার সিদ্ধান্তকে "অপরিবর্তনীয়" বলে পুনর্ব্যক্ত করে। তারা ইকোওয়াসকে সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্সের প্রতি অনুগত বলে নিন্দা জানায়।

এই তিন দেশের প্রস্থান পশ্চিম আফ্রিকায় মুক্ত বাণিজ্য এবং চলাচলের পাশাপাশি নিরাপত্তা সহযোগিতার উপর একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ঐ অঞ্চলে সাহেল জুড়ে জিহাদি গোষ্ঠীগুলি বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে।

নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এই শীর্ষ সম্মেলনে যারা অংশগ্রহণ করছেন তাদের মধ্যে থাকছেন সেনেগালের প্রেসিডেন্ট বাসিরু দিওমায়ে ফায়ে। তাকে ১৫ সদস্যের ইকোওয়াসের পক্ষ থেকে জুলাই মাসে বিচ্ছিন্ন হওয়া রাষ্ট্রগুলোর সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

ফায়ে গত সপ্তাহে বলেন, তিনি তিনটি দেশের সাথে আলোচনায় "অগ্রগতি হচ্ছে" এবং জানান, তাদের সম্পর্ক বজায় না রাখার কোনও কারণ নেই, বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে।

জোটটির বিধান অনুসারে, মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নিজারের প্রস্থান ঘোষণার এক বছর পর, জানুয়ারিতে কার্যকর হবে।

ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর এই তিনটি রাষ্ট্র তাদের নিজস্ব একটি নতুন জোট, এলায়েন্স অফ সাহেল স্টেটস (এইএস) গঠন করেছে।

তিনটি বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র আবুজা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি, তবে তারা শুক্রবার নিজারের রাজধানী নিয়ামিতে একটি পৃথক মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক করেছে।

তারা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলে, "মন্ত্রীরা ইকোওয়াস থেকে প্রত্যাহার করার অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং তাদের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করে প্রস্থানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করেছেন।"

তিনটি রাষ্ট্রই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক অভ্যুত্থান এবং জিহাদি বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ইকোওয়াস সদস্য রাষ্ট্র গিনিও ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে একটি সামরিক সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।