গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব আনার কথা বিবেচনা করছে  সাধারণ পরিষদ 

গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর শিশুদের দেখা যাচ্ছে। (১০ ডিসেম্বর, ২০২৪)

বুধবার আবারও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজা ভূখণ্ডে শিগগির যুদ্ধবিরতি চালু ও জঙ্গিদের হাতে আটক সব জিম্মিদের মুক্তির খসড়াপ্রস্তাব রাখার বিষয়টি বিবেচনায় এসেছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় বাতিল হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই বৈঠকের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।

এর আগে সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমানহামলায় গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ২৬ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়জানিয়েছে।

বেইত লাহিয়ার এক বাড়িতে বিমান হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অপর এক বিমান হামলায় গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শিবিরের একটি বাড়ি আক্রান্ত হলে অন্তত সাতজন নিহত হন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫০ ব্যক্তিকে জিম্মি করে। এই হামলার সূত্রে গাজার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়।

ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৭০০জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়জানিয়েছে।

এই সংঘাতের ফলস্বরূপ ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তেও যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলা শুরু করে। বেশ কয়েক মাস স্বল্প মাত্রায় হামলা-পাল্টা হামলা চালানোর পর সেপ্টেম্বরে বড় আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে যুগপৎ স্থল অভিযান ও বিমান হামলা শুরু করলে বেশ কয়েকজন হিজবুল্লাহ নেতা মারা পড়েন।

নভেম্বরের শেষে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় যা এখনো প্রযোজ্য রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ হামাস ও হিজবুল্লাহকে জঙ্গিসংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।