মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আইন না মানলে বিচারের সম্মুখীন হতে পারে, বললেন আইসিসি প্রসিকিউটার

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটার করিম খান, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলি করিম খান সতর্ক করেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চল রাখাইন রাজ্যের উত্তরে যদি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বাড়তে থাকে, তাহলে উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিরা আইসিসির বিচারের মুখে পড়তে পারে।

আইসিসির তদন্ত মূলত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অতীতের কার্যক্রমের দিকে নজর দিচ্ছে। বিশেষত ২০১৬-২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ।

তবে করিম খান জোর দিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের আইন লঙ্ঘনের বিষয়গুলোও আইসিসির এখতিয়ারে পড়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সাম্প্রতিক কার্যক্রমগুলো এই আদালতের এখতিয়ারভুক্ত নাও হতে পারে।

সোমবার জুম কলে ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে করিম খান নিশ্চিত করেন, তিনি মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে ২৭ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানোর পর বাড়তি আরও কয়েকটি আবেদন জমা দিয়েছেন।

চলমান তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ, বিশেষত, রাখাইন রাজ্যে। তবে বাড়তি আবেদনের কথা উল্লেখ করেছেন করিম খান, যা অন্যান্য অপরাধের বিষয়ে আইসিসির উদ্যোগের দিকে ইঙ্গিত করেছে।

করিম খান উল্লেখ করেন, মিয়ানমার রোম সংবিধিতে সাক্ষরকারী রাষ্ট্র না হলেও আইসিসি রাখাইন সংশ্লিষ্ট মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচারিক ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রাখে, কারণ এই ঘটনার অসংখ্য ভুক্তভোগী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রোম সংবিধিতে সাক্ষরকারী রাষ্ট্র।