বাংলাদেশে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী জেলার বদলগাছীতে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, ১২ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা
এদিকে তাপমাত্রা কমায় শীতের তীব্রতা বেড়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবার ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে ঘন মেঘ থাকায় ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে জেলার ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়িচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত–পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।”
একই ইউনিয়নের ধরলার পাড় এলাকার সাইফুল বলেন, “বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেওয়া যায় না, এত ঠান্ডা। তার পরেও হামারগুলার কাজ ছাড়া উপায় নাই।”
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠা-নামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।”