সিরিয়ায় ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান ও নৌ হামলা, তুরস্ক আর সৌদি আরবের নিন্দা

ইসরায়েলি হামলার পর দামেস্কের উত্তরে অবস্থিত বারজেহ বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রর দৃশ্য। ফটোঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪।

লেবানন সীমান্তবর্তী গোলান মালভূমির উত্তরে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার সময় দেশটির বিমান বাহিনী সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি যুদ্ধ মনিটর সংস্থা।

ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস মঙ্গলবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী সিরিয়াজুড়ে গবেষণা কেন্দ্র, অস্ত্রের গুদাম ও সামরিক অবকাঠামো এবং ভূমধ্যসাগর উপকূলের একটি নৌঘাঁটিতে তিন শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইয়েল কাটজ মঙ্গলবার বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আগের রাতে সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ইসরায়েলের ওপর হামলা ঠেকাতে “দক্ষিণ সিরিয়ায়” তারা একটি অসামরিকীকৃত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তিনি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “ যে-ই আসাদের পথ অনুসরণ করবে তার পরিণতি হবে আসাদের মতো- আমরা কোন চরমপন্থী ইসলামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সীমান্তের ওপার থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাতে দেব না। ”

'দখলদার ইসরায়েল'

যুদ্ধ মনিটর সংস্থারপ্রধান রামি আব্দুর রহমান এবং বৈরুত-ভিত্তিক আল-মায়াদিনটিভি যাদের সিরিয়ায় সাংবাদিক রয়েছে, তারা জানায়, ইসরায়েলি সেনারা লেবানন সীমান্ত বরাবর অগ্রসর হচ্ছে এবং তারা লেবাননের রাশায়া অঞ্চলের মুখোমুখি সিরিয়ার অংশের একটি দীর্ঘ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

ইসরায়েলি সেনারা এখন দামেস্ক থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষণকারীরা।

তুরস্ক সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অগ্রগতির ‘কঠোর’ নিন্দা জানিয়ে বলেছে এটি সিরিয়ার অভ্যন্তরে একটি বাফারজোন নিয়ে ১৯৭৪ সালের চুক্তির লঙ্ঘন।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, সিরিয়ায় যখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তখন ইসরায়েল “ দখলদারের মত মানসিকতা প্রদর্শন করছে”।

সৌদি আরবও সিরিয়ার বাফার জোনে ইসরায়েলের অনুপ্রবেশ এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে ।

সিরিয়ার অভ্যন্তরে ১৯৭৩ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত একটি বাফার জোনে সেনা পাঠিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলেছে এই পদক্ষেপ সাময়িক এবং সিরিয়া সেনা প্রত্যাহারের পর আন্তঃসীমান্ত হামলা ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।