আসাদের উৎখাতের পর সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চলেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ

নিউ ইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সদর দফতরে সিরিয়া নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলছে। ফাইল ফটোঃ ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪।

বিদ্রোহীরা অতর্কিতে অগ্রসর হয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার পর সিরিয়ার অবস্থা নিয়ে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করতে চলেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

সিরিয়ায় প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে আসাদকে সামরিক সহায়তা দেওয়া রাশিয়া গোলান হাইটসে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের উপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ-সহ অন্যান্য ঘটনা পরম্পরা ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদকে অনুরোধ করেছে।

গোলান হাইটসে জাতিসংঘের নজরদারিতে থাকা বাফার জোনে রবিবার ইসরায়েল সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সিরিয়ার বাহিনী তাদের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার পর ইসরায়েলিদের রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন ছিল।

সিরিয়াকে এখন কে নেতৃত্ব দেবে, দীর্ঘ কয়েক বছরের যুদ্ধ ও আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের বেশি সময়কালের শাসনের পর এই দেশ কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে—এ নিয়ে অনেক প্রশ্নই রয়ে গেছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ সোমবার সংবাদদাতাদের বলেছেন, আসাদকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পেসকভ বলেন, আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কোনও পরিকল্পনা নেই পুতিনের এবং আসাদ ঠিক কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে মন্তব্য করতে তিনি অস্বীকার করেন।

রাশিয়ার একাধিক সংবাদ সংস্থা রবিবার বলেছে, আসাদ ও তার পরিবার মস্কোতে পৌঁছেছেন।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, তার দেশ “নতুন সিরিয়া”র আশা দেখছে; যে সিরিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির ভাল সম্পর্ক থাকবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করবে।

দূতদের উদ্দেশে এক ভাষণে ফিদান বলেন, “আমরা চাই, আন্তর্জাতিক কুশীলবরা, বিশেষ করে জাতিসংঘ, সিরিয়ার মানুষের কাছে পৌঁছাক এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসন গড়তে সাহায্য করুক।”

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সোমবার বলেছেন, সিরিয়ার ঘটনাবলির দিকে নজর রেখেছে চীন এবং “সিরিয়ার ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য সিরিয়ার জনগণের নির্ধারণ করা উচিত।”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রবিবার বিকালে এক বিবৃতিতে বলেন, “এই অঞ্চলে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট, তাই ঘটনাবলির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকবে” যুক্তরাষ্ট্রের।

আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছেন তিনি; সেই সঙ্গে ২০১৩ সালে দামেস্কের উপকণ্ঠে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।