উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক এবং ওই অঞ্চলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, শুক্রবার ইসরায়েল ওই এলাকার হাসপাতালে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালটি ওই এলাকার সর্বশেষ কার্যকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর একটি।
হোসাম আবু সাফিয়েহ বলেন, “হাসপাতালের উত্তর ও পশ্চিম দিকে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে, এর সাথে তীব্র ও সরাসরি গোলা হামলা করা হয়েছে।”
হামলার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এএফপির অনুরোধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনো সাড়া দেয়নি।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল শুক্রবার সকালে এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কামাল আদওয়ান হাসপাতালে প্রবেশ করে রোগীদের সরিয়ে নেয় এবং বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করে।
বেইত লাহিয়া শহরটি গত দুই মাস ধরে তীব্র ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযান সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তীব্রতর হয়েছে। বোমা হামলার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা একথা জানায়।
প্রায় ১৪ মাস আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেশ কয়েকবার কামাল আদওয়ানে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালটি বলেছে, তাদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের পরিচালক আহমেদ আল-কাহলুত গত মাসের শেষের দিকে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
কামাল আদওয়ানে সেনাবাহিনী হামলা চালানোর কয়েকদিন পর জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ৬০ দিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি জরুরি পরিষেবা মেডিকেল টিম কামাল আদওয়ানে পৌঁছেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, উত্তরাঞ্চলে তাদের অভিযানের লক্ষ্য সেখানে হামাস জঙ্গিদের পুনরায় সংগঠিত হওয়া থেকে বিরত রাখা।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ করেছে, তারা সেখানে অবশিষ্ট সবাইকে সরিয়ে নেয়া বা অনাহারে রাখার পরিকল্পনা করছে। ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার বৃহস্পতিবার বলেন, যতদিন সামরিক অভিযান চলবে ততদিন উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের সেখানে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।